পারুলিয়া, পলাশ, নরসিংদী।
ঢাকার গুলিস্তান ও মহাখালি থেকে বাসে করে নরসিংদীতে পৌছাতে পারবেন। তবে, ভৈরবগামী বাসে উঠলে আপনাকে নরসিংদীর ভেলানগর বাসস্ট্যান্ডে নামতে হবে। গুলিস্তান থেকে বাসে উঠলে আপনাকে শাহেপ্রতাপ বাসস্ট্যান্ডে নেমে আবার ভেলানগর বাসস্ট্যান্ডগামী বাসে উঠতে হবে। ৫/- টাকা থেকে ১০/- টাকা ভাড়ায় আপনি ভেলানগরে পৌছাতে পারবেন। ভেলানগর থেকে ২০/- টাকা থেকে ৩০/- টাকা ভাড়ায় সিএনজি অটোরিকশা, মিনিবাসে করে চরনগরদি হয়ে পারুলিয়া বাজারে (পলাশ থানায়) পৌছাতে পারবেন।
নরসিংদীতে থাকার জন্য বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হোটেল, গেস্ট হাউজের মধ্যে রয়েছেঃ
১। নরসিংদী সার্কিট হাউজ (সরকারি)
ফোনঃ ০২৯৪৬২০৮৩, ০১৭৩৫৮৪০২৯৪
২। জেলা পরিষদ পোস্টাল বাংলো (সরকারি)
পোস্টাল বাংলো সড়ক, নরসিংদী
ফোনঃ ০২৯৪৬৩৭৬৫
মোবাইলঃ ০১৭১২-৫২১২৭৪
৩। ডাক বাংলো (সরকারি)
সড়ক ও জনপথ বিভাগ, নরসিংদী
ফোনঃ ০২৯৪৬৩১৮১
নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার পারুলিয়ায় এই মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদের মূল ফটকে রক্ষিত একটি পারস্য শিলালিপি থেকে জানা যায় ১১২৬ হিজরী/১৭১৪ সালে জনৈক নাসির নামক ব্যাক্তির কন্যা এবং দিওয়ান শরীফ নামক ব্যাক্তির স্ত্রী বিবি জয়নাব এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটির অভ্যন্তরের দৈর্ঘ্য ১৮.২৯ মিটার, প্রস্থ ৫.১৮ মিটার এবং মসজিদের দেয়ালের ঘনত্ব ১.৫২ মিটার। দুটি ধনুকআকৃতির সমান্তরাল পথের মাধ্যমে মসজিদের অভ্যন্তরকে তিনটি বর্গাকারভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি ভাগের উপরেই একটি করে গম্বুজ রয়েছে। প্রতিটি গম্বুজে নকশা ও অলংকার খোদাই করা আছে। ব্যাতিক্রম হিসেবে মসজিদের চারকোণায় অষ্টভুজ টাওয়ার রয়েছে যেগুলোর প্রতিটির উচ্চতা কার্নিশ পর্যন্ত। মুঘল স্থাপত্যশৈলীতে কোনার টাওয়ারগুলোর উচ্চতা সাধারণত কার্নিশকে ছাড়িয়ে যায়। মসজিদটির মোট পাঁচটি ধনুকআকৃতির ফটকের মধ্যে পূর্বদিকের দেয়ালে তিনটি, উত্তর ও দক্ষিন দিকের দেয়ালে একটি ফটক রয়েছে। মসজিদের মাঝখানের ফটকটি অন্যান্য ফটকের চেয়ে বড়। মসজিদের মূল ফটকের বাইরের দিকটি উপরিভাগ অর্ধগম্বুজ আকৃতির ছাদের নীচে অবস্থিত যেটি একটি আয়াতক্ষেত্রাকার কাঠামোর উপর নির্মাণ করা হয়েছে। অন্যান্য ফটকগুলো সামান্য নিচু আয়াতক্ষেত্রাকার কাঠামোর উপর নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদের পশ্চিমদিকের দেয়ালে পূর্বদিকের ফটকগুলো বরাবর তিনটি মিহরাব অবস্থিত। সবকটি মিহরাব এবং ধনুকআকৃতির ফটকগুলো অলংকারখচিত আয়াতক্ষেত্রাকার কাঠামোর উপর নির্মাণ করা হয়েছে। মিহরাব এবং ফটকের উভয়দিকেই ধনুকআকৃতির কোটর রয়েছে। ফটকগুলোর বাইরের অংশে বর্গাক্ষেত্রাকার এবং আয়াতক্ষেত্রাকার নকশা রয়েছে। ১৮৯৭ সালের ভুমিকম্পে মসজিদটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পরবর্তীতে মসজিদটি মেরামত করা হয়। মসজিদের সামনের বর্গাক্ষেত্রাকার আঙ্গিনাটি প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। তবে প্রাচীরের উচ্চতা খুব বেশি নয় তবে প্রাচীরের পূর্বদিকেএকটি চমৎকার ফটক রয়েছে।পারুলিয়া মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণদিকে অবস্থিত দুটি পুকুর মসজিদ অঙ্গনকে ঠাণ্ডা রাখার পাশাপাশি মসজিদের সৌন্দর্য বহুগুনে বৃদ্ধি করেছে।
মসজিদের পশ্চিমে দিওয়ান শরীফ এবং বিবি জয়নাবের এক গম্বুজবিশিষ্ট দরগা অবস্থিত। প্রতিবছর এখানে বছরের একটি নির্দিষ্ট মাসে মেলা (স্থানীয়ভাবে ওরশ বলা হয়) অনুষ্ঠিত হয় যেখানে বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষজন অংশ নিয়ে থাকে। এসময় এখানে বিভিন্ন খাবার ও খেলনা পাওয়া যায়। মানুষ এখানে এসে প্রার্থনা করে এবং নিজেদের জীবনের সমৃদ্ধির জন্য কিছু চেয়ে থাকে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস